• শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
দুমকিতে বএিশ লাখ টাকার সেতুতে উঠতে হয় বাঁশ-কাঠের মই দিয়ে অসহায় পঙ্গু আব্দুর রাজ্জাককে নগরবাড়ী যুব সমাজের ভ্যানগাড়ি উপহার জামালগঞ্জে বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ দুমকীতে নির্মাণের ৮ মাসের মাথায় সড়কে ধস, হতাশ এলাকাবাসী পটুয়াখালী ভার্সিটিতে ডিবেটিং ক্লাবের নেতৃত্বে শাহরিয়ার মেরাজ ও সিরাতুন্নবী আওয়ামী লীগের সঙ্গে এনসিপির সমঝোতার প্রশ্ন অবান্তর–হাসনাত আবদুল্লাহ বিএনপি গুপ্ত রাজনীতি করে না-সাঈদ খান ভান্ডারিয়ায় বিএনপি’র ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উঠান বৈঠক পটুয়াখালী ভার্সিটিতে আন্তঃঅনুষদীয় ভলিবল টুর্নামেন্ট-২৫ এর উদ্বোধন ভান্ডারিয়ায় দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা

দুমকীতে নির্মাণের ৮ মাসের মাথায় সড়কে ধস, হতাশ এলাকাবাসী

প্রতিনিধি / ১০ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫

দুমকী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।
পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নে ৮ নং ওয়ার্ডের চরবয়ড়ায় নির্মাণের ৮ মাসের মধ্যেই এলজিইডির সড়কে ধস নেমেছে। ১ কিলোমিটার সড়কের একাধিক স্থান দেবে গেছে। কার্পেটিং উঠে সৃষ্টি হয়েছে ছোটবড় অসংখ্য গর্তের। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংলগ্ন স্থানে ১২ ফুট প্রশস্ত প্রায় ৯ ফুটই দেবে গিয়ে একটি বড় গর্তের এতে যানচলাচল বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম। এরপরও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে অভ্যন্তরীণ সড়কের মোটরবাইক, রিক্সা-ভ্যান। যে কোনো সময়ে পুরো সড়কটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা সাড়কটিতে অবাধে মালামাল ভর্তি মাহেন্দ্রাসহ লরি যানবাহনে ইট,বালু ও মাটি পুরিবহনে এমন হাল হয়েছে স্থানীয়রা জানান।বোর্ড অফিস বাজারে আরএইচডি সড়ক থেকে গাবতলী ভায়া ছালামপুর সিনিয়র ৫৭৮৯৬৪০৪১) সড়কটি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কার্পেটিং কাজ সম্পন্ন করে স্থানীয় সরকার শুরুতেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পটুয়াখালীর মেসার্স তালুকদার এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ ছিল স্থানীয়দের। কিন্তু এলজিইডির সরজমিনে সুপারভিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসও)’র যোগসাজশে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়েই টেন্ডারের কাজ দ্রুত করে চলে যান। ওই সময়ে পার্শ্ববর্তী মুবাদিয়া ইউনিয়নে একই তত্ত্বাবধানে অনুরূপ আবার একটি সড়কের নির্মাণ কাজের মালামাল পরিবহনে সদ্য নির্মিত এ কার্পেটিং সড়ক ব্যবহারের কারণেই এমন বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে।

এ বিষয়ে দুমকী উপজেলা প্রকৌশল বিভাগে বারবার অভিযোগ করেও কোনো সুফল আসেনি। উপজেলা প্রকৌশলী অবশ্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাবের জামানতের টাকায় সড়কটিকে মেরামতে স্থানীয়দের তদারকির দায়িত্বরত কর্মকর্তার (এসও) রহস্যজনক ভূমিকার কারণে থমকে গেছে। আর একারণেই ক্ষতি সড়কের সুবিধাভোগী বাসিন্দারা দুর্ভোগের শিকার হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স তালুকদার এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. জুয়েল তালুদার বলেন,টেন্ডারের কোটেশন অনুসারেই কাজটি করতে হয়েছে। তবে নির্মাণ কাজে নির্মাণ সামগ্রী যে নিম্নমানের ছিল তার মোটেই সঠিক নয়। মালামালের বর্ধিত মূল্য বিবেচনায় অফিস কর্মকর্তাদের সাজেশন ও পছন্দের মালামাল এনে কাজটি করেছিলাম। কিন্তু নতুন কার্পেটিং সড়কে ভারি মাহেন্দ্রা ও ট্রাকে মালামাল পরিবহনে ফেলার খেসারত আমি কেন দেব? তিনি আরো বলেন,ড্রইন রাস্তার নীচে সুরঙ্গ হয়ে পানি ওঠানামা করার ফলে একসময় প্রাকৃতিকভাবে করেছে। এটা ডিপার্টমেন্টের বিষয়, এখানে ঠিকাদারকে দায়ী করার কোন আইনগত ভিত্তি নেই। টেন্ডারের দায়িত্বরত এসও মো. সরাফত উল্লাহ বলেন,ক্ষতি সড়কের মেরামতে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ভিন্ন কোন প্রকল্প দিয়ে করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি। কন্ট্রাক্টরের জামানত প্রশ্ন এড়িয়ে বলেন, প্রকৃতিগত ক্ষয়ক্ষতির ঠিকাদারকে দায়ী করা যাবে না। বরং ভিন্ন ভাবে করাই ভাল হবে। উপজেলা প্রকৌশলী মো. আজিদুল হক বলেন,প্রতিটি কাজের বিপরীতে একবছর ঠিকাদারের জামানত রাখার বিধান আছে। এব মধ্যে কাজের মান খারাপ হলে জামানতের টাকায় মেরামত করা হয়। উল্লেখিত,সড়কটি যেহেতু বছরপার হয়নি, সেহেতু আমানত সুপারিশও করার কথা নয়। এটা হয়ে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এরকম আরো সংবাদ
https://slotbet.online/